দশমিনা প্রতিনিধি ॥ ঘড়ির কাঁটায় রাত ১১ টা বাজলেই পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা থেকে বিদ্যুৎ গায়েব হয়ে যায়। গত কয়েকদিনের বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং এর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন উপজেলার ২৬ হাজারের অধিক গ্রাহক। রাতের বেলা বিদ্যুৎ সংকটে তীব্র গরমে জনজীবনে নেমে আসছে ভোগান্তি আর অসহ্য যন্ত্রনা। সারাদিন বিদ্যুতের যাওয়া-আসার খেলে শেষে অতিষ্ঠ বিদ্যুৎ গ্রাহকরা যখন ক্লান্ত হয়ে রাতে ঘুমাতে যান তখন রাত ১১ টার দিকে আবার বিদুৎ গায়েব হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। রাতের বেলা বিদ্যুৎ গায়েব হওয়া নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। তবে লোডশেডিং-এর কথা মানতে নারাজ পল্লী বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে। বিদ্যুতের এই লুকোচুরিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা পড়ছেন চরম বিপাকে। উপজেলার একাধিক গ্রাহক জানান, তীব্র গরমে দিনের বেলা একাধিক বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না তারা।
উপজেলা এক মুদি দোকানী জানান, সারাদিন তিনি ব্যবসায়ীক কর্মকান্ড শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। রাতের খাবার খেয়ে যখন ঘুমাতে যান তখন বিদ্যুৎ চলে যায়। দেড় ঘন্টা অতিবাহিত হলেও বিদ্যুৎ আসেনা। ছোট ছোট সন্তান নিয়ে বিপাকে পরতে হয় তাকে। রাতের বেলা বিদ্যুৎ গায়েব হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। শুধু ওই ব্যবসায়ী নন। তীব্র গরমে বিদ্যুতের এই লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এ বিষয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দশমিনা উপজেলার সাব-জোনাল অফিসের এজিএম স্বপন কুমার পাল বলেন, দশমিনায় কোন লোডশেডিং নেই। যা আছে তা বিদ্যুৎ বিভ্রাট।
Leave a Reply